synopsis

অদ্ভুদ প্রেম

ইঞ্জি মোঃ এলাহান উদ্দিন
৩০ দিনের মোবাইলে প্রেম আবুল ও সানিয়ার ।আবুল পার্কে এসে দেখে অনেক ছেলে মেয়ে জোড়ায় জোড়ায় বসে আসে।এই দেখে তার প্রেমিকাকে পার্কে আসতে বলে ।এর আগে কোনদিন তার প্রেমিকার সাথে দেখা হয় নাই।এটাই তাদের প্রথম দেখা হলেও হতে পারে ।কিন্তু সানিয়া আসতে চাচ্ছে না ।রাগ হয়ে আবুল বলে,থাক আর আসতে হবে না।
আবুলের মাথা গরম, একটু পাগলের মত করে মাথা ঢূলে ঢূলে পার্কে একাই হাটছে।এই দেখে পার্কে একটি কুকুর আবুলকে ধাওয়া করে ।আবুল ভয়ে দৌড়ে এসে গাছে উঠে পড়ে।কিন্তু সে এর আগে জীবনেউ গাছে উঠে নাই। কুকুরের কামড়ের ভয়ে কিভাবে গাছে উঠল সে নিজেই জানে না।গাছ থেকে কিভাবে নামবে, তা এখন তার কাছে চিন্তায় বিষয় । ২ জন ছিনতাই কারী টাকা ছিনতাই করে গাছের নিচে এসে টাকা ভাগ করতে থাকবে, টাকা ভাগ নিয়ে ২ জনের ঝগড়া।এসব দেখে ফেলবে আবুল। গাছের ডালের সাথে আবুল নিজেকে লুকিয়ে ফেলব এবং দৈত্যের মত আওয়াজ করবে। ছিনতাই কারী ২ জন শুনে ভয় পাবে। তারা জিজ্ঞেস করবে কে? এবং আসে পাশে খুজবে, কিন্তু কাউকে পাবে না।আবুল আওয়াজ দিবে, তোদের টাকা ওইখানে রেখে পালিয়ে যা ,না হলে ঘাড় মটকাইয়া দিমু, এই টাকা তোদের কারো না ,অন্য মক্কেলের কাছে চুরি করতে যা, তার ভুলেউ পিছনে তাকাবি না। এ কথা শুনে তারা পালাবে।
সানিয়া র্পাকে এসে কল করবে আবুল যেই গাছে বসে আছে সেই গাছের নিচ দিয়ে সানিয়া হেটে যাবে ।কিন্তু কেউ টের পাবে না।সামনে গিয়ে সানিয়ার কল রিসিভ করবে, সানিয়া জিজ্ঞেস করবে কই? আবুল বলবে,গাছের ডালে ,আজকে আর নামব না,তোমাকে কে আসতে বলছে?গাছের বর্ননা দিয়ে সেই গাছের নিচে আসতে বলবে তাদেরকে।সানিয়া গাছ খুজতে থাকবে।
এদিকে আবুল এবার আবার চিন্তায় পরে যাবে কিভাবে গাছ থেকে নামবে।আবুলের ২ বন্ধু ও এক ছোট ভাই একটা বিলাতি কুকুরের দড়ি ধরে আলাপ করতে করতে গাছের নিচে দাঁড়াবে আর আলাপ ছিল ,আবুল কেই নিয়ে ।একজন বলবে আবুল টা একটা গার্ল ফ্রেন্ড জুটাইতে পারলো না, সে কই আছে,দাড়া একটা ফোন দেই তারে? হঠাৎ আবুল গাছের উপর থেকে বলবে ফোন দাওয়ার দরকার নেই ,আবুল এখন গাছের ডালে।তারা শুনে চমকে উঠবে ,জিজ্ঞেস করবে গাছে কেন?
আবুল বলে ,সে ছাগল খুজতেছে । সে গাছ থেকে নামতে পারে না,এটা বললে হয়তো তার মান-সন্মান চলে যেতে পারে।সে একটা মই আনতে বলবে,কারন সে সবার বস তাই কষ্ট করে গাছ থেকে নামবে তাই,হাজারো বুদ্ধি করেও অবশেষে ধরা পড়ে।
আবুল বলে দেয় যে তাকে, গাছ থেকে বিনা শ্রমে নামিয়ে দিতে পারবে তাকে চাইনিজে কাবাব খাওয়াবে এবং চোরে এর আগে ফেলিয়ে যাওয়া টাকা নিজের বলে । মই না পেয়ে, তিন জনে মিলে আবুলকে গাছ থেকে নামানোর চেষ্টা করবে।এক জন আর একজনের ঘাড়ে উঠে গাছে হাত দিয়ে ধরে মইয়ের মত সিস্টেম করবে।আবুল নামার সময় পা পিছলে মাটিতে পড়ে যাবে।চোখ –মুখ উল্টা করে তার দাঁত লেগে যাবে।

সানিয়া আবার আবুল কে মোবাইল করবে।পকেটে মোবাইল বেজে উঠবে। রিসিভ করবে না।
তিন জনে চিল্লাচিল্লী শুরু করবে।আশে –পাশে চিন্তিত অবস্থায় সানিয়া ও তার বান্ধবী হেঁটে যাচ্ছে।তার বান্ধবী সানিয়াকে যেতে নিষেদ করবে,কারন তারা অপরিচিত। তবুও সানিয়া শুনে দৌড়ে আসে তাদের কাছে ।সে নিজেই ডাক্তার সবে মাত্র পাশ করেছে।
তার ২ জন বন্ধু বলবে, অই আবুল উঠতেছিস না কেন?এ কথা শুনে সানিয়া চিনতে পারে এই আবুলেই তার আসল প্রেমিক।
লেগে যাওয়া দাঁত খোলার জন্য চলছে আপ্রান চেষ্টা।
তিন জনের সাথে যে বিলাতী কুকুর ছিল সে হঠাৎ জোড়ে ভুগতে শুরু করে।কুকুরের ভুগ শুনে অটোমেটিক আবুল হঠাৎ চমকে উঠে এবং কুকুরকে বেধেঁ রাখতে বলে আর ম্যাডামকে বলবে আপনি কে?ম্যাডাম উত্তর দিবে না।
ব্যাথায় উঠতে পারছে না হাত পা ছাল গেছে।তাকে বাতাস করবে সবাই মিলে।
সানিয়া তার বান্ধবীকে তার ব্যাগ থেকে ইঞ্জেকশন আর তুলা ব্যান্ডেজের সরঞ্জাম বের করতে বলে।
আবুল সানিয়ার কন্ঠ শুনে , চমকে ওঠবে,মনে মনে ভাববে এ কন্ঠ তার কাছে চেনা চেনা লাগছে।
আবুল কে ব্যান্ডেজ করে দিয়ে ,সে ইঞ্জেকশন রেডি করতে থাকবে।
আবুল ইঞ্জেকশন দেখলে অনেক ভয় পায় ।চোখ বড় বড় করে তাকাচ্ছে আবুল।মেয়ে ডাক্তার তার হাত টি চাবে ইঞ্জেকশন দেয়ার জন্য।
যদিও আবুলের হাটতে অনেক কষ্ট লাগবে তবুও ইঞ্জেকশনের ভয়ে উঠে দৌড়ে পালাবে।তারা সবাই মিলে তার পিছে দৌড়াবে।আবুল কে তারা থামতে বলবে , আবুল বলে সানিয়া ম্যাডাম ইঞ্জেকশন দেখলে ডর করে, তাই ইঞ্জেকশন হাত থেকে ফেলে দেন তাহলে আমি থামব।অবশেষে সানিয়া ম্যাডাম ইঞ্জেকশন হাত থেকে ফেলে দিবে ,আবুল থাকবে।
আবুল ম্যাডামের প্রতি র্দুবল হয়ে পড়ে।সানিয়া ম্যাডামের সাথে সবার পরিচয় হবে, তার নাম সানিয়া বলার সাথে সাথে আবুল চমকে উঠবে।
আবুল সানিয়ার ম্যাডামের প্রতি আবেগ দেখায় ,কান্নার ভাব দেখায়।
এটা তাদের প্রেমের প্রথম দেখা। ২ জন ২ জন কে পেয়ে অনেক খুশি হবে। আবুল সানিয়াকে জড়িয়ে ধরবে ,বলে আমায় তুমি আগে নাম বল নাই কেন ?এভাবেই অদ্ভুদ প্রথম দেখায়, তাদের অদ্ভুদ প্রেমের সার্থকতা চলে আসে।

 

সিগারেট পাগল

রচনায়ঃ ইঞ্জি এলাহান উদ্দিন

তিন বন্ধু আবুল ,হাবুল ,কাবুল।আবুল আর,হাবুল সব সময় সিগারেট খায়। আবুল সিগারেট খায় আর বড় বড় চাপা মারে।আবুলের বউ রিনা।এক সিগারেট পাগল রনু তার সিগারেট খাওয়ার টাকা নাই,তাই সে ২ জনের সিগারেট খাওয়ার ফেলে দেয়া অংশ কুড়ে কুড়ে খায় আর জমা রাখে। হাবুলের প্রেমিকা সাদিয়া ছিল কিন্তু সিগারেট খাওয়ায় জন্য আর পারিবারিক কারনে তার প্রেম ব্রেক আপ হয়।হাবুল রাস্তায় বসে বসে সিগারেট খায় আর ,তার হারানো প্রেমিকার অপেক্ষায় বসে থাকে।মিনিট পার না হতেই শুধু সিগারেট ধরায়।

কাবুল সিগারেটের গন্ধ সহ্য করতে পারে না।কাবুল সিগারেট খায় না তবুও তার আজমা অ্যাটাক করেছে । ডাত্তারও তাকে সুসস্থ করতে পারছে না।কাবুল যখন  আবুল ও হাবুলের কাছে আসে তখন তারা সিগারেট খায় ,আর আবুল প্রচন্ড কাশতে থাকে।আর তারা মজা করে কাবুলকে বলে”সিগারেট খা তাহলে ভাল হইয়া যাবি” ।

হাবুল কাবুলের কাছে টাকা ধার করে সিগারেট খাইত।দোকানদার রহিম মিয়া চা,সিগারেট বাকি দিত আবুল আর হাবুলকে মিয়াকে।অনেক টাকা বাকি পড়ে গেছে তবুও টাকা দেয় না ,রহিম মিয়া বিদেশ যেতে চায় তাই আবুল আর হাবুল রহিমকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার আশা দেয় আর বাকী খায়। এমন বেকায়দায় পড়ছে রহিম মিয়া টাকাও চাইতে পারে না।তার পাওনা টাকা চাইলেই ,তারা বিদেশ নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

 

আবুল মিয়া অনেকের কাছে চাকুরীর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক টাকা নেয় ও বিদেশ যাওয়া এ সব কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে।

আবুল সিগারেট খায় আর সিগারেটের প্যাকেট জমা রাখে, ও দেখতে চায় কত গুলি জমা রাখতে পারে প্রতি মাসে ।তার পি.এস সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে দোকানে জমা দিয়ে টাকা নেয়।

আবুল মিয়া টাকা নিয়ে ,চাকুরী দিতে মানুষের কাছে অনেক টাকা নিয়েছে।আবুল মিয়া ওনার বস কে টাকা দিছিলো কিছু নিজেও খেয়ে ফেলে,কিন্তু তার বস টাকা নিয়ে খেয়ে ফেলে অবশেষে।

বাসায় সিগারেট খাওয়া আর হাবুলের বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে বাসা থেকে বেড়িয়ে আসবে।বাইরে আসলে, আবুল, রিপন,হাবুল কে পুলিশে ধরে নিয়ে যাবে।কিন্তু অই থানার অসি , ওনারে দেখে ছেড়ে দিবে।কারন, এর আগে আবুল মিয়ার আব্বার বাসায় থেকে বড় হয়ে এখন অসি হয়েছে ।

অবশেষে ৫দিন পরে বাসায় আসবে, তার স্ত্রী ও সাদিয়া ভুল বুঝতে পেরে ,আবুলকে কান্নায় হাত ধরে ক্ষমা চাবে।এদিকে ,আবুল হাবুলের হাত নিয়ে সাদিয়ার কাছে তুলে দিয়ে,আজ থেকে হাবুল সাদিয়ার ।অবশেষে সিগারেটের খালি প্যাকেটের রুমে আসবে, এসে,দেখবে অনেক সিগারেটের প্যাকেট ,অবশেষে ফাযলামি করে নাটক শেষ হবে।

হঠাৎ বিয়া

ইঞ্জি মোঃ এলাহান উদ্দিন

মোক্তার, নয়ন,আবির  সবাই ব্যাচেলর কিন্তু আবির  চাকুরীজীবি। আর নয়ন কেবল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে।এরেই মাঝে ঘটক হ্রদয় মিয়া তাদের তিন জনকে বিয়ে দেয়ার জন্য ভাল ভাবে লেগে পড়েছে ।কারও শরীর ব্যথা, নয়নের সাথে নুসরাতের প্রেম ব্রেক আপ , কারও মন ভাল নাই এসবের সমাধান দেন হ্রদয় মিয়া। একটাই সমাধান বিয়া করা।বিয়ে করলেই সব সমস্যা সমাধান এবং হ্রদয় মিয়ার প্রতি বিয়েতেই ভাল ইনকাম । এরা তিন জনকেই বিয়ে দেয়ার জন্য নানান মোটিভেশন দেন , এবং যে বেশী টাকা সন্মানী দিবে তাকে তিন জনের মধ্যে আগেই পাত্রী ঠিক করে বিয়ে দিবে।

তিন জনের মধ্যে মোক্তার ঘটককে বেশী টাকা সন্মানী দিতে চাওয়ায় রাজী হয়ে যান ঘটক হ্রদয় মিয়া।

ঘটক মোক্তার মিয়াকে বিয়া দেয়ার জন্য তাড়াহুড়ে করে,কন্যা ঠিক করে ।৫ লক্ষ টাকা ডিমেন্ট, কিন্তু শর্ত ঘটককে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে।তাই কন্যার বাড়ীতে আজ কেই বিয়ে দেয়ার জন্য সবকিছু আয়োজন করে, কন্যার বাড়ীতে ধুমধাম বিয়ের আয়োজন,কিন্তু বরের বাড়িতে কেহ জানে না।

মোক্তার মিয়া বাড়িতে এসে বিয়ার কথা জানাবে, বলবে ,আমারে তো এত দিন বিয়া দেন নাই, তাই আজকে আমার বিয়া, রেডি হন, ২ টা মাইক্রো আসতেছে।ওদের বাবা , মা শুনে অবাক হবে, ঘটক এসে পরবে, একটু পর ২ টা মাইক্রোও এসে পড়বে।

ঘটকের সাথে অনেক রাগ হবে মোক্তারের বাব্‌ মা, কিন্তু ঘটক অনেক টাকার লোভ আর পাম-পট্টি দিয়ে মোক্তারের আব্বা ,আম্মাকে বুঝাবে।

তাদেরকে মাইক্রোতে জোড় করে তুলে বিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাবে।বিয়ে হবে। ২দিন যায়,২ মাস যায়,তারপরও টাকা দেয় না। বিরক্ত হয়ে  মোক্তার মিয়া টাকা দেয়ার জন্য শুশুর বাড়ি নিয়ে যাবে। এদিকে এক গোপন রহস্য ঠিক করে রেখেছে মোক্তার মিয়া। এই রহস্যকে কাজে লাগিয়ে যেন এক টাকাও, সন্মানী দিতে না হয় ঘটক হ্রদয়কে।

মোক্তার মিয়া শুশুর বাড়ি গিয়ে বাইরে দাঁড়ানো অবস্থায় হ্রদয়কে মোটর সাইকেলের চাবি দিবে,আর বলবে তোর মোট্রর সাইকেল টাকা, মেয়ে সব নিয়ে যা, আমি এই বউ চাই না,আমি তাকে ডির্ভোস দিব, এই মেয়ে ভাল না ও আর তোকে টাকা দিতে পারব না।

এই কথা শুনে ঘটক ভয় পেয়ে যাবে, ঘটক তাকে সান্তনা দিবে ।কারন এই বিয়েতে অস্মতি জানালে আগে ঘটকের ১২ টা বাজাবে মেয়ের বাবা ও মামা।

ঘটক মোক্তার মিয়াকে বুঝাবে এবং তার কাজে কোন টাকা সন্মানী চাবে না। এবং নিজেই মনে মনে বলবে যাক বাজলাম না হলে আজকে মাইর খাইতাম।সেই দিন থেকেই সে নিজের কান ধরে তওবা করবে টাকা ও সন্মানীর নিয়ে কাউকে জীবনে বিয়ে দিবে না।কান ধরে উঠা বসার সময়  এক আগের বিয়ের বর হাজির হবে ।তাকে একটা ভাল গিফট দিবে,কারন তারা এই বিয়েতে সুখী আছে। ও গিফট নিতে চাবে না তবুও জোড় করে দিবে।কিন্তু ও ঘটকের কাছে জানতে চাবে কেন নিজের কান নিজেই ধরে উঠা বসা করছে, ঘটক হ্রদয় বলবে আমি আর জীবনেউ কারো বিয়েতে যৌতুক নিয়ে বিয়ে দিব না আর নিজেই কোন কিছু নিব না।